জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আত্মপ্রকাশ
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আত্মপ্রকাশ
ডেস্ক রিপোর্ট
11:05:00 | 2024-12-17
‘জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। চব্বিশের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শামিল থাকা বিপ্লবীদের গড়া এটিই প্রথম রাজনৈতিক দল।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের পথচলা শুরু হবে।
আহবায়ক কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটবে। উদ্যেক্তারা জানান, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণে তাদের এই রাজনৈতিক উদ্যোগ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে।
সংগঠনটির সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হাসান আরিফ জানান, সোমবার বাদ আছর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও আহত মুক্তিযোদ্ধা এবং চব্বিশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বিপ্লবে শহীদ এবং আহতদের মাগফিরাত, সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় ঢাকা কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ-মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করেছি আমরা।
তিনি বলেন, মিলাদ-দোয়া শেষে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। এর মধ্য দিয়ে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবীদের নতুন এই রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে এই রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন ‘বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ’ গঠিত হয়েছে। বিপ্লবে জড়িতদের একটি অংশ গত ২৯ সেপ্টেম্বর এই ছাত্র সংগঠনটি গড়ে তোলেন। কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ছাত্র সংগঠনটি বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক কর্মসূচিও পালন করছে।
ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজে দেওয়া এক পোস্টে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের প্রধান উদ্যেক্তা এবং জাপানে নির্বাসিত তাত্ত্বিক নেতা খোমেনি ইহসান লেখেন, সোমবার জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার মুসলিম জাতীয়তাবাদী আন্দোলন 'জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের' আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ চব্বিশের আগস্ট বিপ্লবে শামিল থাকা বিপ্লবীদের গড়া প্রথম রাজনৈতিক দল।
তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলমানদের মুক্তির লড়াইয়ের নবায়ন ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান-গবেষণাভিত্তিক গণতান্ত্রিক নবযাত্রার সূচনা হবে। যা মূলত ১৯০৬ সালে তৎকালীন শাহবাগ তথা বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাত্রা করা মুসলিম জাতীয়তাবাদী মুক্তি সংগ্রামের ঐতিহ্যের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক সম্বন্ধের সূচনা করবে।
পোস্টে খোমেনি ইহসান আরও বলেন, নতুন ধারার এ জনগণতান্ত্রিক মুসলিম জাতীয়তাবাদী আন্দোলন মূলত চীনা ও ভারতীয় সভ্যতার পাশে ৫ হাজারেরও বেশি সময় ধরে হাজির থাকা বাঙালি ও অন্য জাতিসমূহের স্বতন্ত্র সভ্যতাকে মুসলিম সালতানাতকালীন সমৃদ্ধি ও শক্তিমত্তার গৌরবময় অতীতের মানদণ্ডে নতুন করে সভ্যতার পথে শামিল ও সমৃদ্ধ করার আন্দোলন। এ আন্দোলনে ৯২ ভাগ মুসলমান মুসলিম জাতীয়তার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হবে ও বাকি জাতি-ধর্ম-ভাষা সমূহের মানুষ সমঅধিকার-সমমর্যাদা ও নিরাপত্তা গ্যারান্টির মাধ্যমে নিজস্ব আত্মপরিচয়কে ধারণ করে শামিল থাকবেন।
তিনি লেখেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ সেক্যুলার জাতীয়তাবাদকালীন ফ্যাসিবাদ-সাম্প্রদায়িকতা-বৈষম্য-দুর্নীতি-জুলুমের অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে মুসলিম সালতানাতকালীন সম্প্রীতি ও স্বাধীনতার আলোকে জনগণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র গড়বে যা এশিয়ার অগ্রসরতম সভ্যতা হিসাবে বাংলার নতুন পরাক্রম ও শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করবে ইনশাআল্লাহ।