আল-আকসা মুসলিমদের কাছে কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আল-আকসা মুসলিমদের কাছে কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ডেস্ক রিপোর্ট
13:46:00 | 2024-11-02
ইসলামে আল-আকসা মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। প্রথম দিকে মুসলমানরা এই স্থানকে কিবলা (দিক) হিসেবে ব্যবহার করত। হিজরতের পরে কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ায় এর পরিবর্তে কাবা নতুন কিবলা হয়। মসজিদ আল কিবলাতাইনে নামাজের সময় এই আয়াত নাজিল হয়।
আমাদের প্রথম কিবলা হচ্ছে আল-আকসা। অর্থাৎ, সর্বপ্রথম আমরা আল-আকসার দিকে সিজদাহ দিতাম পরবর্তীতে আল্লাহর নির্দেশে পবিত্র কা'বা শরীফের দিকে সিজদাহ করার হুকুম এসেছে। ইসলামের ইতিহাসের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এই মসজিদকে ঘিরে এবং কেয়ামতের আগে অসংখ্য বিস্ময়কর ঘটনা সংঘটিত হবে এই মসজিদ ও তার আশপাশের অঞ্চলে।
মসজিদুল আকসা আমাদের অনুপ্রেরণার নাম। মসজিদুল আকসার কথা ভাবলেই আমাদের স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে খলিফা ওমর রা. ও সালাহুদ্দীন আইয়ুবীর গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের ইতিহাস।
কেনো ভালোবাসবো আল-আকসাকে
প্রথম কিবলা: মসজিদুল আকসা আমাদের প্রথম কিবলা। ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়ে রাসূল সা. ওপর যখন নামাজ ফরয হয়, তখন তিনি ও সাহাবীরা মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করতেন। মদীনায় হিজরতের পরও ষোল/সতেরো মাস পর্যন্ত মুসলমানদের কিবলা ছিল মসজিদুল আকসা। পরবর্তীতে রাসুল সা. এর আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে মহান আল্লাহ )
* কুরআনে মসজিদুল আকসা এবং আশপাশের এলাকাকে পবিত্র ও বরকতময় ভূমি হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
• মেরাজের সূচনাস্থল: ইসরা ও মেরাজের সফর রাসুল সা. এর জীবনের বিস্ময়কর ঘটনা ও আল্লাহর নিদর্শন। বায়তুল্লাহ থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণকে ইসরা এবং মসজিদুল আকসা থেকে ঊর্ধ্বাকাশের ভ্রমণকে বলা হয় মেরাজ। সেই হিসেবে রাসুল সা. এর মেরাজের সূচনা হয়েছিল মসজিদুল আকসা থেকে। এ কারণে বলা যায়, মসজিদুল আকসা রাসুল (সা.)-এর মেরাজের সূচনাস্থল।
• নবী-রাসূলদের স্মৃতির স্মারক: আল্লাহ তা'আলা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন পবিত্র ভূমি আল-আকসায়, তাছাড়াও অনেক নবী-রাসুল এমন ছিলেন, যারা ভিন্ন অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছেন, পরবর্তীতে আল্লাহর আদেশে এই মসজিদের জনপদে হিজরত করেছেন। শুধু তাই নয়, মসজিদুল আকসার আশেপাশে নবী-রাসুলদের যত কবর আছে, অন্য কোনো অঞ্চলে এত কবর পাওয়া যায় না।
• মসজিদুল আকসার উদ্দেশ্যে ভ্রমণ ইবাদত: এই পৃথিবীতে তিনটি মসজিদ ব্যতীত যত মসজিদ আছে, ইসলামের চোখে সবই সমান। সেই তিনটি মসজিদ হলো ১/বায়তুল্লাহ। ২/মসজিদে নববী। ৩/ মসজিদুল আকসা। এই তিনটি মসজিদের পর পৃথিবীতে আর কোনো মসজিদের একটির ওপর অপরটির ফজিলত নেই। এমনকি কোনো মসজিদকে গুরুত্বপূর্ণ ভেবে সোয়াবের নিয়তে ভ্রমণ করাও জায়েজ নেই। তবে হ্যাঁ, উল্লিখিত তিনটি মসজিদকে বরকতময় ভেবে সে উদ্দেশে ভ্রমণ করা সওয়াবের কাজ। এটাও মাসজিদুল আকসার একটি বৈশিষ্ট্য।
রাসুল সা. বলেছেন : মাসজিদুল হারাম, মাসজিদুর রাসুল এবং মাসজিদুল আকসা এই তিনটি মাসজিদ ব্যতীত অন্য কোনো মসজিদে (সালাতের) নিয়তে সফর করা যাবে না।)
• এক রাকাতে আড়াইশ রাকাতের ছওয়াব: মসজিদুল আকসা এতটাই বরকতপূর্ণ এবং ফজিলতময় স্থান যে, সেখানে কেউ এক রূপগঞ্জ)
• গুনাহ মাফের স্থান: মসজিদুল আকসার একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এটি গুনাহ মাফের জায়গা। কেউ যদি নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদুল আকসায় গমন করে, তবে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন। মসজিদুল আকসা নির্মাণকাজ শেষ করার পর সুলাইমান আলাইহিস সালাম আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন, "যে ব্যক্তি এই মাসজিদে সালাত আদায়ের জন্য আসবে, সে যেন গুনাহ থেকে ঐভাবে নিষ্পাপ হয়ে যায়,যেনো সদ্যভূমিষ্ট সন্তানের ন্যায়"।
আর নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, মহান আল্লাহ তার নবী সুলাইমান আ. )
• ইয়াজুজ-মাজুজের ধ্বংসস্থল: কেয়ামতের বড় বড় প্রসিদ্ধ দশটি আলামতের একটি হলো ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব। এই ইয়াজুজ-মাজুজ ধ্বংস হবে মসজিদুল আকসা-পার্শ্ববর্তী একটি পাহাড়ে।
• দাজ্জাল থেকে মুক্ত: কেয়ামতের আগে দাজ্জাল যখন গোটা পৃথিবী জুড়ে তাণ্ডব চালাবে এবং দুর্বল ঈমানদারেরা দলে দলে দাজ্জালের ফেতনায় আপতিত হবে, সেই কঠিন সময়েও মসজিদুল আকসা থাকবে দাজ্জালের ফেতনা থেকে মুক্ত। এ ব্যাপারে রাসুল সা. বলেছেন - দাজ্জাল চারটি মাসজিদে প্রবেশ করতে পারবে না: মসজিদুল হারাম, মসজিদুন নববী, মসজিদুত তুর এবং)
ইহুদীদের ফিলিস্তিনে আগমন
খলীফা দ্বিতীয় আব্দুল হামীদের শাসনামলের শুরুতে (১২৯৩-১৩২৮ হিজরী/ ১৮৭৪-১৯০৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত) রাশিয়ায় চরম ইহুদী নির্যাতন হয়। খলীফা এ ব্যাপারে খুব কঠোর ছিলেন যে, ইহুদীরা কিছুতেই ফিলিস্তিনে বসবাস করতে পারবে না। তখন ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স সুলতান আব্দুল হামীদকে রাশিয়া থেকে বিতাড়িত ইহুদীদের গ্রহণ করতে বাধ্য করে। নানা কারণে তিনি ইহুদীদের মেনে নিতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ফিলিস্তিনে ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য হস্তক্ষেপ শুরু করে। তখন সুলতান আব্দুল হামীদ সেই ঐতিহাসিক উক্তি করেন, ‘যতদিন উসমানী খেলাফত থাকবে, ততদিন ফিলিস্তিনে ইহুদীরা ঠাঁই পাবে না।
১২৯৯ হিজরী/১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেন মিশর দখল করে নেয়। ফিলিস্তিন থেকে মিশরকে আলাদা করে ফেলে। খলীফা আব্দুল হামীদের আমলেই ‘তুর্কী যুব সংঘ’ গড়ে ওঠে। যারা ছিল ধর্মহীন, লালন করত জাতীয়তাবাদী ধ্যান-ধারণা। "ঐক্য ও প্রগতি" নামে তাদের ছিল সামরিক বাহিনী।
১৯০৯ সালে "ঐক্য ও প্রগতি সংঘ" সুলতান আব্দুল হামীদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। নামকাওয়াস্তে খলীফার আসনে বসানো হয় পঞ্চম মুহাম্মাদকে।
১৯১৪-১৯১৮খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে "ঐক্য ও প্রগতি" নামক সংঘটি উসমানী খেলাফতকে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দেয়। যার হাত ধরে ১৯২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে খেলাফতের পতন ঘটে।
[তথ্যসূত্র : কাসাসুল কুরআন, হিফজুর রহমান সিহারবী রাহ.; কিসসাতু ফিলিস্তিন, রাগিব সারজানি; আকসা কে আঁসু, আবু লুবাবা শাহ মানসূর; আলজাজিরা, উইকিপিডিয়া ও অন্যান্য]
ইহুদীরা কেনো ফিলিস্তিন দখল করতে চায়?
আপনারা জানলে অবাক হবেন, তাদের একটি পরিকল্পনার নাম সাহয়ূনিয়্যাহ, যাকে ইংরেজিতে জায়োনিজম বলে। অর্থাৎ ইহুদীরাই গোটা বিশ্ব শাসন করার অধিকার রাখে। আর ইহুদীদের কেন্দ্র হবে আল-আকসা। সেখান থেকে আশপাশের অঞ্চলে আক্রমণ করে করে সাম্রাজ্য বিস্তার করা হবে। এভাবে ওরা পুরো বিশ্ব শাসন করবে।
এ বিবেচনায় প্রথমে ওরা সেখানে কিছু জমি খরিদ করতে আরম্ভ করে। যাতে ইহুদীদের সেখানে এনে এনে ঘাঁটি তৈরি করা যায়। কোনো ইহুদী যদি আমাদের অঞ্চলে জমি কিনতে চায় তাহলে তো শরীয়তের মাসআলায় তাতে নিষেধ নেই, কিন্তু ওদের ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা ছিল গোটা বিশ্ব থেকে ইহুদীদের এনে এ অঞ্চলে একটি ইসরাইলী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তারপর আশপাশের এলাকাজুড়ে তা আরো সম্প্রসারণ করা। সেই পরিকল্পনাকে তারা ‘গ্রেটার ইসরাইল’ নামে অভিহিত করে, সেই গ্রেটার ইসরাইলের একটি পরিকল্পনা হচ্ছে, সীমান্ত বিস্তৃত করতে করতে মসজিদে নববী পর্যন্ত পৌঁছানো, নাউযুবিল্লাহ। এরপর মূল টার্গেট হল, পুরো বিশ্ব শাসন করা।
হামাস কারা? বর্তমানে ফিলিস্তিন যুদ্ধে কেনো হামাস কে সমর্থন করবো?
দীর্ঘদিন যাবৎ ইহুদীদের হাতে নির্যাতিত, অত্যাচারিত মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে প্রতিবাদী এক স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা-গোষ্ঠী, যারা তাদের দখলকৃত ভূমি স্বাধীন করতে চায়। বাংলা ভাষায় যাদেরকে বলা হয় মুক্তিযোদ্ধা, শরিয়তের ভাষায় তারা মুজাহিদীন।
(মুজাহিদদের সহযোগিতা করা বিশ্বের সর্বস্তরের মুসলমানদের সামর্থ্য ও সাধ্যানুযায়ী সাহায্য করা ঈমান। কেউ যদি এতে সঙ্কোচবোধ করে, মনে করতে হবে তার ঈমানের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।
মুসলিমগণ একে অপরের ভাই, কোনো মুসলিম অপর ভাইয়ের ওপর জুলুম করতে পারে না, তাকে শত্রুর মোকাবেলায় সহায়তা না করে সঙ্গহীন একা ছেড়ে
ইসরায়েলের পক্ষে সবচেয়ে বেশী কে সহযোগিতা করছে?
ইসরায়েলী বা ইহুদিদের সবচেয়ে বেশি প্রকাশ্য সমর্থন করছে পশ্চিমারা অর্থাৎ আমেরিকাসহ সমজাতীয় রাষ্ট্রগুলি। তাদের প্রধান শত্রু ইসলাম, তারা কখনো তাদের উপর মুসলমানদের কর্তৃত্ব চায় না, ফলে কোনো রাষ্ট্রে ইসলাম বিজিত হোক তা মোটেও চায় না। ইতিহাসের গ্রহণযোগ্য গ্রন্থ দেখলে বুঝতে পারবেন।পূর্ব যুগ থেকেই তারা শান্তির পোশাক পড়ে, চালিয়ে আসছে মুসলমানদের উপর অমানবিক জুলুম, নির্যাতন, অত্যাচার।
যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা পৃথিবীদের ফাসাদ সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে আমরাই তো শান্তি প্রতিষ্টাকারী। মনে রেখো এরাই ফাসাদকারী, কিন্তু এই উপলব্ধি সুতরাং, আজ পৃথিবীতে যারা অশান্তি, অরাজকতা সৃষ্টি করে। নিজেদের শান্তিকামী দাবী করছে তারা এ যুগে নতুন নয়, তাদের পূর্বসূরিরা নবী(সা.) এর যুগেও এরকম ফাসাদ করতো।
আমেরিকা যে মুসলমানদের স্বাধীনতার বিরূদ্ধে তার জ্বলন্ত প্রমাণ হচ্ছে, ইসরায়েলের জন্য এতো মায়াকান্না, তাহলে কেনো তাদের মতো মহাদেশের মধ্যে কিছু অংশ ইহুদিদের জন্য নির্ধারণ করে না? কেনোই বা তাদের তুলনায় ফিলিস্তিনের মতো ছোট রাষ্ট্রেই ইহুদীদের অবৈধ দখলে সহযোগিতা করছে? মূলত মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে-ই অবস্থান নিক না কেনো, তারা তাদের পক্ষে সমর্থন আমেরিকার থাকবেই।
মুসলমান হিসেবে আমাদের করণীয়: * শরীয়তের ভাষায় ত্বাকওয়ার হুকুম হচ্ছে- হামাসের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জিহাদ করা। গোটা মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছে-
তোমাদের কী হয়ে গেল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কর না এবং নির্যাতিত লোকদের পক্ষে? যারা এই দুআ করছে যে, আয় আল্লাহ! আমাদের সেই বসতি থেকে উদ্ধার করুন, যার অধিবাসী জালেম। আর আপনি আমাদের জন্য কোনো সাহায্যকারীর ব্যবস্থা করে দিন।❞ (সূরা নিসা ৪/৭৫)
আজ এই আয়াতটি গাজার মুসলমানদের চিত্রায়ণ করছে। আজ তারা নির্যাতিত, নিষ্পেষিত। তারা দুআ করছে,হে আল্লাহ, আমাদের এই মুসিবত থেকে উদ্ধার করুন। কুরআন বলে যে, হে মুসলিমরা! তোমরা তাদের পক্ষে কেন জিহাদে আল্লাহ তা'আলা বলেদিয়েছেন-
আল্লাহ তা'আলা উনার বান্দাদের কে সাধ্যের বাহিরে কখনো পাকড়াও করবেন না অর্থাৎ, আল্লাহ সবসময় দেখবেন সাধ্যের ভিতরে আমরা কতটুকু প্রচেষ্টা করেছি।
সামর্থ্যের ভিতরে কেউ যদি কোনো কিছু না করে তাহলে শরীয়তের বিধান:
মানুষ যদি কোনো অত্যাচারীকে অত্যাচারে লিপ্ত দেখেও তার দু-হাত চেপে ধরে তাকে প্রতিহত না করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা অতি শীঘ্রই তাদের সকলকে তার ব্যাপক শাস্তিতে নিক্ষিপ্ত
অর্থাৎ, ব্যাখাগত দিক দিয়ে, শরীয়ত অনুসরণে ত্রুটি কিংবা অলসতা করা, সরাসরি বিমুখতা প্রদর্শন না করলেও, ছলে-বলে-কৌশলে শরীয়তের বিধি-বিধানকে পাশ কাটিয়ে মনচাহি জীবন যাপন করা হয়, জেনেও না জানার ভান করে আল্লাহ ও রাসূলের আদেশ-উপদেশকে উপেক্ষা করা হয়, তবে
সেই ব্যক্তি অপেক্ষা বড় জালেম আর কে হতে পারে, যাকে তার প্রতিপালকের আয়াতসমূহের মাধ্যমে উপদেশ দেওয়া হলে সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং নিজ কৃতকর্মসমূহ ভুলে যায়?❞