দরকার পড়লে এমন মানুষের মুখোশ খুলে দেব : কর্ণিয়া
দরকার পড়লে এমন মানুষের মুখোশ খুলে দেব : কর্ণিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট
10:50:00 | 2024-11-03
তরুণ সংগীতশিল্পী কর্ণিয়া। নিয়মিত গান করছেন। গানের জন্য ছুটছেন দেশ-বিদেশ। অবসর পেলে চীন কিংবা জাপানে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন কণ্ঠশিল্পী জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় শো করে ফিরেছেন। শো, নতুন গানের খবরাখবর নিয়ে কর্ণিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।
অনেকে আমেরিকা-কানাডা-ইউরোপ ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন, আপনি তো বিপরীত। জাপান-চীন-কোরিয়া ঘুরতে যান।
ব্যক্তিগত কোনো কারণ আছে নাকি?
না, না। আমারও আমেরিকা-কানাডা পছন্দ। এমনকি কানাডার ভিসাও আছে। তবে ছোটবেলা থেকে খুব ইচ্ছা ছিল জাপান আর চীনে যাব।
একটা কথা আছে না, জ্ঞান অর্জনের জন্য দরকার পড়লে সুদূর চীনে যাও। বলতে পারেন সেটাই করেছি। আমার স্বামী নাবিল চীন-জাপান খুব পছন্দ করে। তাই মনে করলাম, যৌথ জীবনের প্রথম সফর এই দুই দেশ দিয়েই শুরু হোক।
এখনো খাগড়াছড়ি আছেন? ফেসবুকে পোস্ট দেখলাম।
না, ঢাকায় ফিরে এসেছি। শুক্রবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি শো করতে খাগড়াছড়ি গিয়েছিলাম। আমার গ্যাং (কর্ণিয়ার গানের দল ‘কর্ণিয়া উইথ গ্যাং’) নিয়ে ঘুরে বেড়ালাম। বেশ মজা করেছি আমরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজকাল খুব প্রতিবাদী আপনি...
আরে বলবেন না! একে তো ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা ভালো না। এর মধ্যে একে অন্যের পেছনে কথা বলে। এসব সহ্য করা যায়, বলেন? যার কাজ নেই সে কাজ খুঁজবে। তাই বলে আরেকজনের কাজ ছিনিয়ে নিতে যাবে কেন? এত দিন চুপচাপ থেকেছি। এখন থেকে আর চুপ থাকব না। দরকার পড়লে এমন মানুষের মুখোশ খুলে দেব।
নতুন গান কবে আসছে?
এর মধ্যে দুটো গান করেছি। শাহান কবন্ধ ভাইয়ের লেখা, পার্থ মজুমদার দাদার সংগীতে ‘স্বপ্নপুর’ গানটি শিগগিরই প্রকাশ করব। রুবেল খন্দকারের কথা, সুর এবং তাঁর সঙ্গে দ্বৈত গাওয়া একটা গানও প্রস্তুত। কাল (সোমবার) আরেকটি একক গানে কণ্ঠ দেব। আমি তো এখন নিজের চ্যানেলের দিকে মনোযোগী বেশি। এ কারণে বাইরের গান খুব কমই গাই। আগে নিয়মিত প্লেব্যাক করতাম। এখন সেটা কমেছে। নিয়মিত তো ছবিও নির্মিত হচ্ছে না।
বড় বড় অডিও কম্পানির কর্ণধাররা বলছেন ইউটিউব থেকে আয় কমে গেছে। তাঁরা লগ্নিও কমিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টা কি আপনার নজরে এসেছে?
আমার চ্যানেলটাতেও একই অবস্থা। আগে যেভাবে রেভিনিউ আসত গানে এখন সেভাবে আসে না। দর্শক বেশির ভাগ নাটকের দিকে ঝুঁকেছে বলে মনে হচ্ছে। গান তো মাত্র তিন-চার মিনিটের কনটেন্ট। ফলে বিজ্ঞাপন পেতেও সমস্যা হয়। অন্যদিকে একটা নাটক ৩৫ থেকে ৭৫ মিনিট পর্যন্তও হয়। সেখানে বিজ্ঞাপন দু-তিনবার মাস্ট আসে। একটা ভালো মানের মিউজিক ভিডিও বানাতে কিন্তু একটা নাটকের মতোই খরচ হয়। তাই লগ্নিকারকরা এখন গান থেকে নাটকের দিকেই যাচ্ছেন। এতে অবশ্য সংগীতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবস্থা দিন দিন খারাপই হবে।
এর মধ্যে কোনো কনসার্ট নেই?
আছে তো! প্রতি সপ্তাহে অন্তত চার-পাঁচটি শো থাকে আমার। দর্শক-শ্রোতাদের কাছে এই গ্রহণযোগ্যতাটা তৈরি করতে পেরেছি। এই সপ্তাহে ঢাকা ও কক্সবাজারে দুটি শো চূড়ান্ত হয়েছে। আরো দুটির কথা চলছে। এই মাত্র একজনের সঙ্গে আগামী সপ্তাহের একটি শো চূড়ান্ত করলাম।
মাঝে তো দক্ষিণ কোরিয়ায় শো করলেন। এরপর কোন দেশে যাচ্ছেন?
ডিসেম্বরে দুটি দেশের শো চূড়ান্ত। তবে এখন দেশের নাম জানাতে চাই না। ওই যে প্রথমে বললাম, আড়ালে কেউ কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা করে। দেশের শো তো আছেই, বিদেশের শো হলে এই ধরনের মানুষ পাগল হয়ে যায়। একজনকে হটিয়ে আরেকজন যাওয়ার চেষ্টা করে।